মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পিঁয়াজ অন্যতম। পিঁয়াজ ছাড়া বাংলার মায়েরা খাবার রান্না করবেন এ কথা চিন্তাই করা যায় না। পিঁয়াজ খাবারের স্বাদ ও গুণগতমান বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয় ঁিপয়াজে রয়েছে ভেষজ গুণাবালী। আমাদের দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা দেশের সর্বস্তরের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা ও কৃষকের এবং কৃষকের বানিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বারি উদ্ভাবিত একাধিক পিঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে বারি পিঁয়াজ-৫ উল্লেখযোগ্য। বারি পিঁয়াজ-৫ একটি গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজের জাত হলেও এটি বছরব্যাপী চাষের উপযোগী। এটি একটি স্বল্পকালীন জাত যার ফলন ১৮-২০ টন প্রতি হেক্টরে। তাই কৃষক এটি চাষ করে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা এর উদ্যোগে, ‘‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা যোরদারকরণ প্রকল্প’’এর আর্থিক সহযোগীতায়, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ২০/০১/২০২১ তারিখে, বারি পিঁয়াজ-৫ উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশ থেকে আমদানীকৃত পিঁয়াজের উপর ভরসা না করে নিজেদের দেশে পিঁয়াজ চাষ করে পিঁয়াজের ঘাটতি পূরণ করে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করা মাঠ দিবসের উদ্দেশ্য।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। সভাপতির বক্তব্য রাখেন-ড. মো. হাবিবুর রহমান (পিএসও) বারি, কুমিল্লা। আরো উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ ড. মো. মুক্তার হোসেন ভ‚ইয়া, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; কৃষিবিদ শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা ; ড. মো. আইউব হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মহিবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; তাহেরা তাসমিমা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা ।